রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
নিলয় আহমেদ রাফি, স্টাফ রিপোর্টার।।
হাইওয়ে ও মহাসড়কে নছিমন, করিমন, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও রূপগঞ্জে গাউছিয়া ও ভুলতা এলাকায় এসব যানবাহনের চলাচল বেড়েই চলেছে। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। উপর মহলকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে চলছে এসব অবৈধ/নিষিদ্ধ যানবাহন। চার এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০:০০ টায় গাউছিয়া কাপড়ের হাট সংলগ্ন মহাসড়কের উপর কথা বলে এ সকল তথ্য বেরিয়ে আসে।
এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন চাকার সব ধরনের যানবাহন ধীরগতির বলে মহাসড়কে এগুলোর চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর ব্রেকিং–ব্যবস্থা যেমন দুর্বল, তেমনি গঠনও মহাসড়কে চলার উপযোগী নয়। এ ছাড়া এসব বাহনের চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণেও এসব চালক নিজে যেমন দুর্ঘটনায় পড়েন, তেমনি অন্য যানবাহনকেও দুর্ঘটনায় পড়তে বাধ্য করে।
গাউছিয়া ও ভুলতা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, দুটি স্থানেই যাত্রী তোলার অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। প্রতিটি ভ্যানে ৮-১০ জন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৫ জন করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগুলো মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যে। গাউছিয়া গোলাকান্দাইল হাটে গিয়ে দেখা যায়, আসবাব, গবাদিপশু, কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে নছিমন ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা হাটে যাওয়া-আসা করছে। মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধ এসব যানের হাটে মালামাল ওঠানো ও নামানোর কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
গাউছিয়া বাস স্ট্যান্ডে কথা হয় করিম নামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালক ও সাগর নামের নছিমনচালকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, মালামাল বহনের জন্য নছিমন এবং কম দূরত্বের লোকজনের যাতায়াতের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা খুবই জনপ্রিয়। তাঁদের দাবি, এতে যাত্রীদের যেমন লাভ, তেমনি তাঁদেরও (চালকদের) লাভ। পুলিশ মাঝেমধ্যে একটু ঝামেলা করলেও বেশির ভাগ সময়ই তাঁরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গাউছিয়া (ভুলতা) হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আশরাফ মোল্লা বলেন, ‘মহাসড়কে তিন চাকার যেকোনো যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। এগুলোর বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছি। অভিযান চলাকালীন সময়ের মধ্যেও এরা সুযোগ বুঝে মহাসড়কে নেমে পড়ে। এগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।